Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সাতক্ষীরার দর্শনীয় নলতা শরীফ
স্থান
অবস্থান: সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম একটি উপজেলা কালীগঞ্জ। এ উপজেলারই একটি গ্রাম নলতা। শান্ত, শ্যামল ও সৌম্য এ গ্রামটি আজ দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে পরিচিত। কেন্দ্রীয় ই-সেবা ই-বুক জাতীয় ই-তথ্যকোষ সরকারি ফরম ডাউনলোড ই-সেবা কেন্দ্র, জেলা প্রশা
কিভাবে যাওয়া যায়
সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম একটি উপজেলা কালীগঞ্জ। এ উপজেলারই একটি গ্রাম নলতা। নলতা বাস স্ট্যান্ডেই এই মাজার শরীফের অবস্থান। বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম। যুগে যুগে এদেশে জন্ম লাভ করেছে অনেক পীর, মাশায়েখ ও বুজুর্গ ব্যক্তি। ইসলাম প্রচার ও ধর্মের টানে এদেশে আগমন করেছে অনেক ধর্মীয় পুরুষ। যাদের পরিশ্রমে ইসলামের পতাকা উড্ডীন হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে সমাজ সংস্কার ও ইসলাম প্রচারের জন্য যে সকল ব্যক্তি তাদের প্রচেষ্টা ব্যয় করেছেন তার মধ্যে খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ অন্যতম। তিনি সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ব্যক্তি। তার ওফাতের পর তার নাম অনুসারে সাতক্ষীরা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে নানানপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তার স্মৃতি ধন্য সাতক্ষীরার নলতা শরীফ বর্তমানে একটি দর্শনীয় স্থান। সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম একটি উপজেলা কালীগঞ্জ। এ উপজেলারই একটি গ্রাম নলতা। শান্ত, শ্যামল ও সৌম্য এ গ্রামটি আজ দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে পরিচিত। এ গ্রামেই জন্মেছিলেন খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ। বাংলাদেশের অবহেলিত-অশিক্ষিত বাঙালি মুসলমান যুবকদের মধ্যে তিনি শিক্ষা বিস্তারে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে গেছেন। তিনি তার সারাটি জীবন ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণে। বাংলাদেশের বিখ্যাত আহছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা এই খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ। খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ ১৮৭৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুন্সী মোহাম্মদ মুফিজ উদ্দিন এবং মায়ের নাম মোছা: আমিনা বেগম। স্থানীয় স্কুলে লেখাপড়া শেষে আহসান উল্লাহ উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা যান এবং ১৮৯৫ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শনে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ছিলেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রথম মুসলিম প্রধান শিক্ষক। তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগে একজন মুসলমান হিসেবে যোগ দেন এবং সহকারী ডিরেক্টর পদ পর্যন্ত অলঙ্কৃত করেন। এছাড়াও তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনেটর ছিলেন।
বিস্তারিত

১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এইকর্মবীর সাধক ইহজগৎ ত্যাগ করেন। তাকেতারজন্মস্থাননলতায় সমাহিত করা হয়। পরে তার সমাধিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে আজকেরখান বাহাদুর আহসান উল্লাহ সমাধি কমপ্লেক্স বা নলতা শরীফ। প্রায় ৪০ বিঘাজমির ওপর গড়ে ওঠা এই কমপ্লেক্সের মধ্যে আছে মাজার, মসজিদ, অফিস, লাইব্রেরি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অতিথিশালা, পুকুর ও বেশকিছু উন্মুক্ত জায়গা। একটি উঁচুমাটির ঢিবির মতো দেখতে, যার চারদিকের ঢালে রয়েছে নজর কাড়া ফুলের বাগান। এবাগানের শীর্ষে রয়েছে একটিদৃষ্টিনন্দন সমাধিসৌধ। এরনির্মাণশৈলী ওনির্মাণ উপকরণ অত্যন্তআকর্ষণীয় ও মূল্যবান। সমাধিসৌধেওঠার জন্য তিন দিকে৩টি সিঁড়ি রয়েছে। তবে দক্ষিণের সিঁড়িটি বেশ প্রশস্তএবং আকর্ষণীয়। মোট ৯টিগম্বুজ দ্বারা সৌধটি সুশোভিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গম্বুজটি বেশ বড় এবং দর্শনীয়। খানবাহাদুর আহসান উল্লাহ মৃত্যুবার্ষিকীউপলক্ষে এই সমাধিকে কেন্দ্র করেপ্রতিবছর ৮, ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি এখানে বার্ষিক ওরস মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তখনধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশেরবিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগীরা ছুটে আসে নলতা শরীফে। ওরজের তৃতীয় দিন শেষে ওরজে আগতদের খাবার দেওয়ার মাধ্যমে ওরজ সমাপ্ত করা হয়। এই ওরজ উপলক্ষে নলতায় মেলাও বসে। যেখানে দেশ-বিদেশের হরেক রকম জিনিস বিক্রয় করা হয়। বর্তমানে নলতা শরীফ সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান।